Page

Choose Your Language

Tuesday, July 26, 2016

মানুষের চোখ কিভাবে কাজ করে। এবং আমরা কিভাবে দেখতে পাই।

চোখে সমস্যার কারণে আমরা কোন কিছু দেখার সময় অথবা পড়ার সময় সেটা ঝাপসা দেখি। এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আমরা সাধারণত চশমা বা কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করে থাকি। চোখে ঝাপসা দেখার কারণ হিসেবে আমরা শুনে থাকি চোখের ফোকাস পয়েন্ট সামনে বা পিছনে চলে আসে। এজন্য চশমা ব্যবহার করে চোখের ফোকাস পয়েন্ট ঠিক করা হয়। কিন্তু মনে কি কখনো প্রশ্ন জেগেছে, এই ফোকাস পয়েন্ট সামনে বা পিছনে সরে আসলে কি হয়?
 এ ব্যাপারটি নিয়ে কিছু বলার আগে আমাদের এই চোখ কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আমাদের হালকা ধারণা থাকা প্রয়োজন। (এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে তাহলে– কারণ জানতে গিয়ে চোখ দিয়ে দেখার সিস্টেমটাও জানা হয়ে যাবে।)


 চিত্র-২: আলোকরশ্মির চোখে প্রবেশ এবং রেটিনার ফোকাস পয়েন্টে ইমেজ আসা

আমাদের চোখ শুধুমাত্র আলোর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির পার্থক্য করতে পারে। যখন কোনো বস্তু হতে আলো আমাদের চোখে এসে পড়ে, তখন সেই সমান্তরাল আলোক রশ্মি চোখের কর্ণিয়ার (কালো রাজা) ভিতর দিয়ে যেয়ে চোখের লেন্স অতিক্রম করার সময় বিভিন্ন কোণে আপতিত হয় এবং বেঁকে গিয়ে বিভিন্ন দিকে চলে যায়। লেন্সের মধ্য দিয়ে এই বেঁকে যাওয়া আলোক রশ্মি আবার চোখের রেটিনার একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে একত্রিত হয়ে বস্তুটির একটি উল্টো প্রতিবিম্ব তৈরি করে সেখানে ফোকাস করে।

এখানে একটি বিষয় ভালো করে মনে রাখতে হবে, তা হচ্ছে, যে কোনো বস্তু হতে যদি আলো না এসে আমাদের চোখে না পড়ে তাহলে কিন্তু আমরা দেখতে পাব না, আর এই কারণেই আমরা  অন্ধকারে একদম দেখতে পাই না।

রেটিনায় দুটি সংবেদী কোষ আছে- রড এবং কোণ। রেটিনার কোণ কোষ রঙ বুঝতে সাহায্য করে আর রডস্ কম আলোতে দেখতে সাহায্য করে। এই রড এবং কোণ কোষ আলোর ফোটনকে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালে পরিণত করে, এরপর তা অপটিক নার্ভের মধ্য দিয়ে আমাদের মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয়। মস্তিষ্কে এই ইলক্ট্রিক্যাল সিগন্যাল ইন্টারপ্রিটেড হয়ে উল্টো ইমেজ হয়ে যায় এবং সেটাই আমরা দেখি। আর এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত দ্রুত ঘটে, যা আমরা বুঝতেই পারি না।

রেটিনায় আলোকরশ্মিকে ফোকাস করার ক্ষমতাও রড এবং কোণ কোষের আকৃতির উপর নির্ভর করে। যখন আমরা কোন কিছুর দিকে তাকাই, তখন লেন্সের সাথে সংযুক্ত এক্সটাঅকুলার পেশীগুলো সংকুচিত-প্রসারিত হয়ে লেন্সের আকৃতি পরিবর্তন করে। এর ফলে আমরা চোখ নড়াচড়া করলেও বস্তুটি রেটিনায় ফোকাস পয়েন্টে স্থির থাকে, যার ফলে বস্তুটির অবস্থানের কোন পরিবর্তন ঘটেনা। আর এই কাজটি আমাদের নার্ভাস সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

(আরও একটি তথ্য না দিলেই নয়, আমরা যে বিভিন্ন রঙ্গিন বস্তু দেখি তা সম্ভব হয়েছে চোখের রেটিনার রড এবং কোণ কোষের কারণেই৷ রড এবং কোণ কোষের অন্যতম উপাদান হলো ভিটামিন এ৷ এ কারণে ভিটামিন এ-র অভাব হলে রাতকানা রোগ হয়৷)

এখন আসল কথায় আসা যাক। ফোকাস পয়েন্ট সামনে বা পিছনে চলে আসার কারণে সাধারণত আমরা ৪ ধরণের দৃষ্টির সমস্যায় পড়ে থাকি।

1) মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি,
2) হাইপারোপিয়া বা দূরদৃষ্টি,
3) অ্যাসটিগম্যাটিসম (Astigmatism),
4) প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে।



মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি’র ক্ষেত্রে, আমাদের চোখের ফোকাস পয়েন্ট রেটিনা অতিক্রম করে সামনে চলে আসে। যার ফলে দূরের বস্তু ঝাপসা দেখা যায়,কিন্তু কাছের বস্তু দেখতে সমস্যা হয়না। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, চোখের লেন্সের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ বড় হয়ে গেলে অথবা লেন্সের ফোকাস ক্ষমতা অত্যধিক বেড়ে গেলে এমনটা হয়। সেক্ষেত্রে উত্তল লেন্স ব্যবহার করে ফোকাস পয়েন্টকে পিছনে ঠেলে রেটিনায় নিয়ে আসা হয়।

চিত্র-৩: ক্ষীণদৃষ্টির ক্ষেত্রে

হাইপারোপিয়া বা দূরদৃষ্টি’র ক্ষেত্রে, আমাদের চোখের ফোকাস পয়েন্ট রেটিনার পিছনে চলে আসে। এর ফলে দূরের বস্তু দেখতে সমস্যা হয়না,কিন্তু আমরা কাছের বস্তু ঝাপসা দেখি। এক্ষেত্রে লেন্সের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হয়ে গেলে অথবা লেন্সের ফোকাস ক্ষমতা অত্যধিক কমে গেলে এমনটা হয়। সেক্ষেত্রে অবতল লেন্স ব্যবহার করে ফোকাস পয়েন্টকে সামনে ঠেলে রেটিনায় নিয়ে আসা হয়।


চিত্র-৪: দূরদৃষ্টির ক্ষেত্রে

এখন লেন্সের আকার ছোট-বড় বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। খেয়াল করবেন, অত্যধিক আলো অথবা ক্ষীণ আলোতে আমাদের চোখের লেন্স অনেক ছোট হয়ে যায়। আবার যখন রেগে যাই, তখন চোখের লেন্স স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় হয়ে যায়। জেনে রাখা ভাল, মানুষের শরীরের একমাত্র অঙ্গ চোখ, যেটি স্বাভাবিকের চাইতে দশগুণ বেশি বড় হতে পারে।

তাছাড়া চোখের আইরিশ যখন প্রসারিত হয়, তখন পিউপিল ছোট হয়ে যায়। আবার আইরিশ সংকুচিত হলে পিউপিল বড় হয়ে যায়। এই পিউপিল লেন্সের ঠিক সামনেই থাকে। এটি আমাদের চোখের ফোকাসিং পাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এর ক্ষতি হলেও ফোকাসিং পাওয়ার-এ তারতম্য দেখা দেয়। এছাড়া মানুষের চোখের রং যেমন কালো, বাদামী, নীল – এসব মূলত আইরিশের রং।

অ্যাসটিগম্যাটিসম (Astigmatism) এর ক্ষেত্রে, কর্ণিয়া বা লেন্সের আকার বিকৃত হয়ে গেলে আলো রেটিনার সামনে এবং পিছনে দুটো ফোকাস পয়েন্টে আসে। যার ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, একটি জিনিসকে দুটি দেখা এবং মাথাব্যথা হতে পারে।

প্রেসবায়োপিয়া এর ক্ষেত্রে, বয়সজনিত চোখের গঠনগত পরিবর্তনের কারণে চোখের কর্ণিয়া এবং লেন্সের ইলাসটিসিটি বা স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়, ফলে লেন্সের প্রয়োজনে (বিশেষ করে কাছের জিনিস দেখার জন্য) আকার পরিবর্তন করার ক্ষমতা কমে যায় এবং কাছের জিনিস ঝাপসা দেখায়।

চোখ নিয়ে অনেক কথাই তো বললাম। সাথে কিছু উপদেশ ফ্রি-তে দিয়ে দেই :

1) অধিক আলো অথবা ক্ষীণ আলোতে বেশিক্ষণ না থাকা উচিৎ। কারণ সেক্ষেত্রে চোখের উপর অনেক চাপ পড়ে।

2) অনেকের অভ্যাস থাকে বারবার চোখ ধোয়ার৷ কিন্তু এটা ঠিক না৷ কারণ বারবার চোখ ধুলে চোখের পানির প্রয়োজনীয় উপাদানও ধুয়ে যায়৷ ফলে চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়৷

3) ভিটামিন এ সমৃদ্ধ টাটকা রঙিন শাক-সবজি,ফলমূল এবং ডিম,দুধ খেতে হবে৷

4) চোখে কিছু পড়লে রগড়ানো একদম উচিত না৷ পানি দিয়ে ধুতে হবে৷

5) চোখে কোন প্রকার আঘাত লাগলে ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে৷ চোখের আঘাত সাংঘাতিক বিপদ ডেকে আনে৷ তাই দেরী না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন৷

6) ডায়বেটিস থাকলে সুগার নিয়ন্ত্রনের সাথে সাথে অবশ্যই চোখ দেখানো উচিত৷ কেননা ডায়বেটিস চোখের সাংঘাতিক ক্ষতি করে৷
Read more ...

আমরা ছেলেরা আসলে মেয়েদেরকে কিভাবে দেখি।

একটা মেয়েকে একটা ছেলে অশালীন কাপড় পরার জন্য ধর্ষণ করেছে নাকি করে নাই –এটা আমার কাছে খুবই অস্বস্তিকর একটা “shallow” আলোচনা মনে হয়েছে। যদি বলা হয়, অশালীন পোষাকই দায়ী, তাহলে ধর্ষক কিছুটা জাস্টিফিকেশন পেয়ে যায়। আবার যদি বলা হয়, “অশালীন পোষাক দায়ী নয়”, সেক্ষেত্রেও মনে হওয়ার কথা, “মানুষ কি ধ্বজ নাকি?”। মানুষের মধ্যে পশুবৃত্তি আছে বলে সে ধর্ষণ করে- এই উত্তরটাকে আমার কাছে যথার্থ এবং যথেষ্ট মনে হয় না, খুবই ভাসাভাসা কথা, কথাটার মাঝে চিন্তাভাবনার অভাব আছে। যদি তাই হত, তাহলে এই একুশ শতকে হঠাৎ করে পুরো বিশ্বে পশুর সংখ্যা বিশেষ করে উন্নত বিশ্বে কোন কারণ ছাড়া কেন বেড়ে গেল- এটা বোঝা বড়ই দায়। বিবর্তনবাদী নাস্তিকরা অবশ্য ব্যাপারটা কে অন্যভাবে দেখছে। তারা বলে মানুষ হল অন্য পশুর মতই পশু, যার বিবর্তনটা একটু বেশি হয়েছে, এই। “ধর্ষন একটা ন্যাচারাল ব্যাপার”- এই কথাটা সর্বপ্রথম প্রচার করে বিবর্তনবাদীরা, যেটা আসলে ধর্ষককে চুপেসারে একধরণের ধর্ষণের লাইসেন্সই দেয় ! মন বলে তো কিছু নেই, সবই DNA এর খেলা ! DNA তে নাকি ধর্ষণের জিন ছিল, ধর্ষকের কি করা ! ২। আচ্ছা আমরা কি চিন্তা করেছি মানুষ আর পশুর মধ্যে পার্থক্য কি ? অবশ্যই এটা লেজ নয়, পার্থক্যটা হল মানুষ চিন্তা(thinking) করতে পারে, তার মন(mind) আছে, পশু চিন্তা করতে পারে না, কারণ তার মন নাই। আর মিলটা হল, মানুষ এবং পশু উভয়ের কিছু প্রবৃত্তি(instinct) আছে, যেমন- survival instinct, procreation বা sexual instinct) ইত্যাদি। যদিও সব মানুষের ইন্সটিংট গুলো এক, তবু কেন মানুষ একই পরিবেশে ভিন্ন আচরণ করে? এর কারণ হল, ঐ প্রবৃত্তির উপর তার দৃষ্টিভঙ্গি, যেটা আসে চিন্তা(thought) থেকে উৎসরিত কোন কনসেপ্ট বা জীবনদর্শন থেকে। যেমন পশ্চিমা সমাজ মানুষের সেক্সুয়াল ইন্সটিংটকে দেখে এক্সক্লুসিভলি সেক্সুয়াল লেন্স থেকে, তাই তার ফোকাসিং পয়েন্ট হল সেক্স। আবার ইসলাম পুরো ব্যাপারটাকে দেখে প্রজাতি রক্ষা এবং মানসিক প্রশান্তির লেন্স থেকে, তাই তার ফোকাসিং পয়েন্ট হল বিয়ে। এজন্য পশ্চিমা দেশগুলোতে যত প্রকার সেক্স থাকা সম্ভব তার সবই বিদ্যমান, মুসলিমদের মধ্যে এতটা নয়। সেক্সুয়াল ইন্সটিংট স্যাটিসফ্যাকশন খুজবে তখনই যখন তাকে বাহ্যিকভাবে উত্তেজিত (external stimulation) করা হয়, তা না হলে নয়। স্যাটিসফ্যাকশন না হলে একটা মানুষ অস্বস্তি এবং টেনশন বোধ করবে, মারা যাবে না, তবে স্যাটিসফাই করার পথ খুজতে থাকবে। পশ্চিমা সমাজে আমরা দেখি এই ধরণের যৌনতা উদ্দীপক জিনিষের ব্যাপক ছড়াছড়ি। সেটা রাস্তার বিলবোর্ড থেকে শুরু করে লাস ভেগাসের বিচ পর্যন্ত বিস্তৃত। তাদের গল্পে-কবিতা-সাহিত্য-মুভিতে অবাধ যৌনতার বিশাল সমারোহ। যেমন একনের একটা গান আছে। “I wanna fuck you”। তার আরেকটা গান আছে, “I had just sex”. আর শিলার যৌবন তো আছেই ! আছে স্পার্টাকাস। ৩। নারী পুরুষের মধ্যকার সম্পর্কটা তাই আমাদের সমাজে অনেক হালকা হয়ে গেছে। যেমন ধরেন, আমরা ছেলেরা আসলে মেয়েদেরকে কিভাবে দেখি ? একটা সুন্দর মেয়ে দেখলে আমরা বলি, “দেখ দেখ ! সেরম একটা মাল”। একটা মেয়েকে আমরা দেখি আর হিসেব করতে থাকি সে কি ৩৬-২৪-৩৬ ? আমরা দেখি পর্ণোগ্রাফি, দেখি আর নিজেদের সেখানে কল্পনা করি, যেখানে মেয়েদের কাজ শুধুই “সুখ” দেওয়া। সে এক মজার জিনিষ, নারী হল সেখানে “ভোগ্যপণ্য”। আমরা দেখি শরীরসর্বস্ব সারিকা আর শখদেরকে, বিএমডব্লিউ এর বিজ্ঞাপন দেখে আমরা আবিষ্কার করি মেয়েরা হল “বিপনণপণ্য”, তাদেরকে কয়টা টাকা দিলেই তারা শরীর দেখায়। রাতের বেলা আমরা ফ্যাশন চ্যানেলগুলো দেখি, আর আমাদের মন অজান্তেই বুঝে ফেলে, মেয়ে মানেই শরীর, সেক্স আর সেক্স। পপ গানের জঘন্য মিউজিক ভিডিওগুলোতে শরীরের ঢলাঢলি দেখে আমরা জানতে পারি, নারী হল “সেক্স সিম্বল”। বাস্তব জগতে আমরা আমাদের পাশের বাসার মেয়েটিকে দেখি তার আকর্ষনীয় দেহটাকে ফোকাস করে ঘুরে বেড়া্তে। আচ্ছা, সে চায়টা কি ? আমি দেখব আর সে দেখাতে চায়, তাই তো ! নাকি আবার অন্য কিছু আছে এটার মধ্যে! আমরা দেখি, আর সবাইকে ডেকে দেখাই, সেও খুশি হয়, তাই না? আর আমাদেরকে তো কে যেন শিখিয়েই দিয়েছে, “চুমকী চলেছে একা পথে”, তার সঙ্গী হতে চাওয়াটা মোটেও দোষের কিছু না। নকশা আমাদেরকে চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করিয়ে দেয় ঠিক কতটুকু চিপা জিন্স হলে একটা মেয়েকে সবচেয়ে যৌনাবেদনময়ী দেখাবে। তারা আমাদেরকে শিখিয়ে দেয় ওড়না পরে নিজের শরীর ঢেকে রাখার কোন প্রয়োজন নেই, কারণ, সে বিশ্বাস করে, “নারী, মূল্য তোমার শরীরে, মূল্য তোমার শরীরের কুঞ্চনে !” মম আর বিন্দুদের দিকে তাকিয়ে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারে জনৈক বুদ্ধিজীবি বলেন, “তোমার মধ্যে যৌবনের ভারি অভাব”, আর মেয়েটি তাতে মন খারাপ করে নিজেকে আরও যৌবনা হয়ে পুরূষের চোখে সুশোভিত হয়ে ধরা দিতে চায়। কটা মেয়েকে বিচার করা হয় তার শরীর
Read more ...

বিজ্ঞানের ১৯ টি মজার আবিষ্কার !

কিছু কিছু বিজ্ঞানী থাকেন যাদের মাথা একেবারে আউলা ঝাউলা! তারা এমন এমন সব জিনিস আবিষ্কার করে বসে থাকেন যেগুলোর কথা কেউ কল্পনাই করতে পারেন নি। প্রথমে সেগুলোকে খুব সাধারণ আবিষ্কার মনে করা হলেও পরে দেখা যায় সেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে ইম্পর্টট্যান্ট সব কাজে! আজ আমি এরকমই কয়েকটি আবিষ্কার নিয়ে আলোচনা করবো। যেগুলো আবিষ্কারের সময় সেরকম মূল্য না পেলেও আজ খুবই জরুরী। সেগুলো ছাড়া আমরা কাটাতে পারি না একটি দিনও। কারণ এগুলোই যে আমাদের জীবনযাত্রাকে করেছে সহজ এবং গতিশীল।


এইরকম ছাতা কি দেখেছেন কখনো? এটা কিন্তু জাপানিদের আবিষ্কার। দেখে মনে হতে পারে বিরক্তিকর কিন্তু ঘন বর্ষায় শরীর শুকনো রাখতে কিন্তু এই ছাতার জুড়ি নেই।



কানে কম শোনেন? বাড়িয়ে নিন আপনার শ্রবণশক্তি!! কে ভেবেছিলো এইভাবে শ্রবণশক্তি বাড়ানো যায়??



কান পরিষ্কার করার জন্য এর থেকে ভালো কিছু পাবেন না বোধহয়!



সর্দি লেগেছে? টয়লেট পেপার ঝুলিয়ে রাখুন ছবিটির মতো করে! আর উপভোগ করতে থাকুন বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ফলাফল!



ঘুমন্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকার দারুণ বুদ্ধি। এর আবিষ্কারক ও জাপান।



সময় কাটছে না? বাবল পপ গুলো ফোটান! আপনি মাত্র ৮ টা বাবল পপ ফুটিয়ে শেষ করতে পারবেন না!




এইবার থেকে আর কোন ড্রপ মিস হবে নাহ!



সেলফি তোলার জন্য সেলফি স্টিক! সেলফি তুলুন মনের মতো! ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে!


সাউন্ড ক্যাচার ! টিভির শব্দ শোনা যাবে শুধু নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কে! বিরক্ত হবে না আশেপাশের কেউ!!



বই কিন্তু বই না! শুধু বইয়ের মতো!!


আপনার আওয়াজ শুনতে পাবে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট মানুষ।




কলার মতো স্লিপকেস! এর ভেতরেই ঘুমাবেন?? এটা কিন্তু রাবারের মতো নড়তেও পারে!!




সাথে ম্যাচ নাই? তাতে কি হয়েছে? এইভাবে জ্বালান আপনার সিগারেট!



লোনলি ওম্যানের জন্য কি অদ্ভুত আবিষ্কার দেখেছেন??




লোনলি পুরুষের জন্য আরেক পাগলের আবিষ্কার।আশা করি বিজ্ঞানের অদ্ভুতুড়ে কিছু আবিষ্কার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমিও চেষ্টা করি আপনাদের জানানোর। আপনাদের জানার আগ্রহ কমেন্ট বক্সে লিখুন। ভালো থাকবেন। শুভ বিদায়।
Read more ...

Thursday, July 7, 2016

নিজেই তৈরি করুন আপনার নামের বার কোড !!!




আমারা সবাই বার কোড জিনিসটির সাথে পরিচিত।লক্ষ্য করলে দেখা যায় সব পণ্যের গায়েই কিছু লম্বা সাদা কালো দাগ রয়েছে।এগুলোই আসলে বার কোড।কোন পণ্য সম্পর্কে অনেক প্রকার তথ্য এগুলোর মাঝে লুকান থাকে।কিন্তু আমারা কিন্তু তা পরতে পারি না।কারন এই কোড গুলো পড়ার জন্য বারকোড রিডেবল মেশিন বা সফটওয়্যার দরকার।এখানে কিছু কথা বলে রাখা ভাল এই বার কোড কিন্তু একরকম না। এই কোডের অনেক গুলো সিস্টেম আছে। যেমন - QR-code, code-128, maxi code, code-39 , code 16k ,codebar ইত্যাদি।আর এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ব্যবহার করা কোড হল কোড ১২৮।যাই হোক সারা জীবন তো খালি পণ্যের বার কোড ই দেখে এলাম, চলুন আজকে নিজের নামের বার কোড তৈরি করি।আমি একটি সাইটের ঠিকানা দেব,আমার জানা মতে এটাই সব থেকে সহজ অনলাইন বার কোড তৈরিকারী সাইট।এঁর  জন্য

  1. প্রথমে এই সাইটে যান
  2. এবার সিলেক্ট এ বার কোড থেকে code 128 সিলেক্ট করুন
  3. enter data from barcode এর বক্স এ আপনার নাম দিন
  4. এবার নিচের কম্ব বক্স থেকে size  দিন(normal সিলেক্ট করাই ভাল)
  5. এবার create barcode এই বাটনে ক্লিক করে আপনার নিজের নামের বারকোড লুফে নিন

এছাড়াও আমি একটি সফটওয়্যার এঁর  লিঙ্ক দিচ্ছি।এখান থেকে বার কোড তৈরি করতে পারবেন। এখান থেকে ডাউনলোড করুন।
Read more ...

মানব দেহের কিছু মজার তথ্য !




১. একজন মানুষের রক্তের পরিমাণ তার মোট ওজনের ১৩ ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ ৬৫ কেজি ওজন মানুষের রক্তের পরিমাণ হল ৫ কেজি।
২. দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে।
৩. রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বাঁচে।
৪. দেহের সব শিরাকে পাশাপাশি সাজালে দেড় একর জমির প্রয়োজন হবে।
৫. একজন মানুষের স্নায়ুতন্ত্র এত লম্বা যে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৭ বার পেঁচানো যাবে।
৬. কোন অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়।
৭. দেহে ও মনে অনুভূতি আসলে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে।
৮. একজন শিশুর জন্মের সময় হাড় থাকে ৩৫০ টি।
৯. একজন মানুষ সারা জীবনে ৪০ হাজার লিটার মূত্র ত্যাগ করে।
১০. একজন মানুষের শরীরে চামড়ার পরিমাণ হচ্ছে ২০ বর্গফুট।
১১. একজন মানুষের চামড়ার ওপর রয়েছে ১ কোটি লোমকূপ।
১২. মানুষের শরীরে যে পরিমাণ চর্বি আছে তা দিয়ে ৭ টি বড় জাতের কেক তৈরি সম্ভব।
১৩. মানুষের শরীরে ৬৫০ টি পেশী আছে। কোন কোন কাজে ২০০ টি পেশী সক্রিয় হয়। মুখমন্ডলে ৩০ টির বেশী পেশী আছে। হাসতে গেলে ১৫ টির বেশী পেশী সক্রিয় হয়।
১৪. একস্থান থেকে শুরু করে সমগ্র শরীর ঘুরে ঐ স্থানে ফিরে আসতে একটি রক্ত কণিকা ১,০০,০০০ কিমি পথ অতিক্রম করে অর্থাৎ ২.৫ বার পৃথিবী অতিক্রম করতে পারে।
১৫. আমাদের মস্তিষ্ক প্রায় ১০,০০০ টি বিভিন্ন গন্ধ চিনতে ও মনে রাখতে পারে।
Read more ...

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কুকুর !!




একটি কুকুর সবোচ্চ কতটুকু দীর্ঘ হতে পারে। যে কারও চোখ কপালে উঠে যাবে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকায় কুকুর সম্পর্কে জানলে । ৪৪ ইঞ্চি দীর্ঘ এ কুকুরটির বাস যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে । তার মনিব আদর করে নাম রেখেছেন 'জিউস' । গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠিয়ে এরই মধ্যে অফিসিয়াল স্বীকৃতি অর্জন করে ফেলেছে জিউস ।
পেছনের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালে জিউস কোনো অংশে দীর্ঘকায় মানুষের চেয়ে কম যায় না । অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, জিউসের উচ্চতা সাত ফুট চার ইঞ্চি বা দুই দশমিক দুই মিটার!
কি বিশ্বাস হচ্ছে না?
না হওয়ারই কথা ।

এদিকে আরেক দৈত্যকায় আকারের কুকুর জায়ান্ট জর্জকে পেছনে ফেলেছে জিউস । জর্জের চেয়ে তার উচ্চতা এক ইঞ্চি বেশি । জিউসের মনিব ডেনিস ডুরল্যাগ তিন বছর ধরে কুকুরটির দেখাশোনা করছেন । তিনি বললেন, 'মানুষ একটি প্রশ্ন প্রায়ই করে । ও কি কুকুর না ঘোড়া? জিউস যদি কারও পায়ের ওপর দাঁড়ায় , তবে নির্ঘাত ক্ষতচিহ্ন ফেলবে সেখানে । আমরা যখন জিউসকে বাড়িতে এনেছিলাম , তখন তাকে পরিবহনে আলাদা একটি পিকআপ ট্রাক ভাড়া করতে হয়েছিল ।'
Read more ...

রোবটও পেল স্পর্শ অনূভুতি ।




প্রযুক্তির দিন দিন উন্নতি ঘটে চলেছে।আই.বি.এম তো ঘোষণা দিয়েছে পাঁচ বছরের মধ্যেই আমরা মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিন এর মাধ্যমে দূরের জিনিস ধরতে পারব।এই ভবিষ্যত বাণীটা ঠিক হওয়ার দিকে আমরা একধাপ কিন্তু এগিয়ে গেছি।বিজ্ঞানীরা যন্ত্রের মধ্যে বিভিন্ন বস্তুর স্পর্শ অনূভুতি জাগাতে সক্ষম হয়েছেন। এখানে যন্ত্রটি হল এক ধরনের মানুষের মত রোবট।ইউনিভার্সিটি অফ সাউর্দান ক্যালিফোর্নিয়া ভাইটারভি স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিজ্ঞানীরা এমনই একটি রোবর্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন এবং এ সম্বন্ধে একটি লেখা প্রকাশ করেছেন।তারা এই রোবটটির হাতে এক ধরনের বিশেষ সেন্সর ব্যবহার করেছেন।এই সেন্সর এর গঠন অনেকটা মানুষের আঙুলের মত।এর উপরে বিশেষ ভাবে গঠিত চামড়া থাকে এবং তাতে তরল পদার্থের একটি স্তর ও থাকে। চামড়াতে একধরনের বিশেষ খাঁজ কাটা অংশ থাকে,অনেকটা আঙুলের রেখার মত।রোবটিক আঙুলটি যখন কোন বস্তুর উপর দিয়ে নেয়া হয়,তখন চাপের তফাত,উঁচু নিচু ইত্যাদির কারনে সেন্সরটি ভায়ব্রেশন উৎপন্ন করে।এই ভায়ব্রেশন আঙুলের মাঝখানে থাকা হাড়ের মত হাইড্রোফোনের কাছে পাঠানো হয়।সেখান থেকে ভায়ব্রেশন নিয়ে,রোবটটির কম্পিউটার তা পূর্বে অভিজ্ঞতা থেকে সঞ্চিত রাখা ভায়ব্রেশন এর সাথে তুলনা করে বস্তুটি চিহ্নিত করে।এখন এ আবিস্কারটি করার জন্য বিজ্ঞানীদের সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি হয়েছে তা হল একটি নতুন এলগরিদম আবিস্কার করা।মানুষ কোন বস্তু স্পর্শের সাহায্যে চেনার জন্য কিছু বিশেষ উপায় অবলম্বন করে।এ উপায়গুলো মানুষ তার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিখে।এত দিন রোবটকে এসব উপায় শিখানোর কোন উপায় ছিলনা।তবে অবশেষে বিজ্ঞানীরা বিশেষ এলগরিদম আবিষ্কার করেছেন যার সাহায্যে রোবট এসব উপায় ব্যবহার করবে।বিজ্ঞানিরা তাদের উদ্ভাবিত রোবটকে মোট ১১৭টি বস্তু সম্বন্ধে জ্ঞান দিয়ে পরিক্ষা করেছেন।তাদের রোবটটি মোটামুটি ৯৫.৫% সময় ঠিকভাবে বস্তুগুলো আলাদা করতে পেরেছে,যখনই তাকে একসাথে কয়েকটি বস্তু দেয়া হয়েছিল।মজার বেপার হল রোবটটি এমন কিছু ক্ষেত্রে ধোঁকা খেয়েছে,যেগুলোও বস্তুগুলো খুবই কাছাকাছি।এত কাছাকাছি ধরনের বস্তু মানুষও সাধারনত স্পর্শের সাহায্যা আলাদা করতে পারেনা।অর্থাৎ এদের স্পর্শ অনূভুতি আমাদের চেয়েও ভাল।

Read more ...

Wednesday, July 6, 2016

পৃথিবী -Earth



পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী তৃতীয়, সর্বাপেক্ষা অধিক ঘনত্বযুক্ত এবং সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। এটি সৌরজগতের চারটি কঠিন গ্রহের অন্যতম। পৃথিবীর অপর নাম "বিশ্ব" বা "নীলগ্রহ"। লাতিন ভাষায় এই গ্রহের নাম "টেরা (Terra)[১]
পৃথিবী হল মানুষ সহ কোটি কোটি প্রজাতির আবাসস্থল হল। পৃথিবীই একমাত্র মহাজাগতিক স্থান যেখানে প্রাণের অস্তিত্বের কথা বিদিত।[২] ৪৫৪ কোটি বছর আগে পৃথিবী গঠিত হয়েছিল। এক বিলিয়ন বছরের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে প্রাণের আবির্ভাব ঘটে।[৩] পৃথিবীর জৈবমণ্ডল এই গ্রহেরবায়ুমণ্ডল ও অন্যান্য অজৈবিক অবস্থাগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে একদিকে যেমন বায়ুজীবী জীবজগতের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে, অন্যদিকে তেমনি ওজন স্তর গঠিত হয়েছে। পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে একযোগে এই ওজন স্তরই ক্ষতিকর সৌর বিকিরণের গতিরোধ করে গ্রহের বুকে প্রাণের বিকাশ ঘটার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছে।[৪] পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ ও এর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস ও কক্ষপথ এই যুগে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আরও ৫০ কোটি বছর পৃথিবী প্রাণধারণের সহায়ক অবস্থায় থাকবে।[৫]
পৃথিবীর উপরিতল একাধিক শক্ত স্তরে বিভক্ত। এগুলিকে টেকটনিক প্লেট বলা হয়। কোটি কোটি বছর ধরে এগুলি পৃথিবীর উপরিতলে এসে জমা হয়েছে। পৃথিবীতলের প্রায় ৭১% লবণাক্ত জলের মহাসাগর দ্বারা আবৃত। অবশিষ্টাংশ গঠিত হয়েছে মহাদেশ ও অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে। স্থলভাগেও রয়েছে অজস্র হ্রদ ও জলের অন্যান্য উৎস। এগুলি নিয়েই গঠিত হয়েছে বিশ্বের জলভাগ। জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় তরল জল এই গ্রহের ভূত্বকের কোথাও সমভার অবস্থায় পাওয়া যায় না। পৃথিবীর মেরুদ্বয় সর্বদা কঠিন বরফ (আন্টর্কটিক বরফের চাদর) বা সামুদ্রিক বরফে(আর্কটিক বরফের টুপি) আবৃত থাকে। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ সর্বদা ক্রিয়াশীল। এই অংশ গঠিত হয়েছে একটি আপেক্ষিকভাবে শক্ত ম্যান্টেলেরমোটা স্তর, একটি তরল বহিঃকেন্দ্র (যা একটি চৌম্বকক্ষেত্র গঠন করে) এবং একটি শক্ত লৌহ অন্তঃকেন্দ্র নিয়ে গঠিত।
মহাবিশ্বের অন্যান্য বস্তুর সঙ্গে পৃথিবীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বিশেষ করে সূর্য ও চাঁদের সঙ্গে এই গ্রহের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে পৃথিবী নিজ কক্ষপথে মোটামুটি ৩৬৫.২৬ সৌরদিনে বা এক নক্ষত্র বর্ষে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।[৬] পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ২৩.৪ ডিগ্রি কোণে হেলে রয়েছে। এর ফলে এক বিষুবীয় বছর (৩৬৫.২৪ সৌরদিন) সময়কালের মধ্যে এই বিশ্বের বুকে ঋতুপরিবর্তন ঘটে থাকে।[৭] পৃথিবীর একমাত্র বিদিত প্রাকৃতিক উপগ্রহ হল চাঁদ। ৪.৩৫ বিলিয়ন বছর আগে চাঁদ পৃথিবী প্রদক্ষিণ শুরু করেছিল। চাঁদের গতির ফলেই পৃথিবীতে সামুদ্রিকজোয়ারভাঁটা হয় এবং পৃথিবীর কক্ষের ঢাল সুস্থিত থাকে। চাঁদের গতিই ধীরে ধীরে পৃথিবীর গতিকে কমিয়ে আনছে। ৩.৮ বিলিয়ন থেকে ৪.১ বিলিয়ন বছরের মধ্যবর্তী সময়ে পরবর্তী মহাসংঘর্ষের সময় একাধিক গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে গ্রহের উপরিতলের পরিবেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল।
গ্রহের খনিজ সম্পদ ও জৈব সম্পদ উভয়ই মানবজাতির জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। এই গ্রহের অধিবাসীরা প্রায় ২০০টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে সমগ্র গ্রহটিকে বিভক্ত করে বসবাস করছে। এই সকল রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক কূটনৈতিক, পর্যটন, বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক বিদ্যমান। মানব সংস্কৃতি গ্রহ সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণার জন্মদাতা। এই সব ধারণার মধ্যে রয়েছে পৃথিবীকে দেবতা রূপে কল্পনা, সমতল বিশ্ব কল্পনা এবং পৃথিবীকে মহাবিশ্বের কেন্দ্ররূপে কল্পনা। এছাড়া একটি সুসংহত পরিবেশ রূপে বিশ্বকে কল্পনা করার আধুনিক প্রবণতাও লক্ষিত হয়। এই ধারণাটি বর্তমানে প্রাধান্য অর্জন করেছে।

পরিচ্ছেদসমূহ

  [আড়ালে রাখো

নাম ও ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

"পৃথিবী" শব্দটি সংস্কৃত। এর অপর নাম "পৃথ্বী"। পৃথ্বী ছিল পৌরাণিক "পৃথুর" রাজত্ব। এর সমার্থক শব্দ হচ্ছে; বসুধা, বসুন্ধরা, ধরা, ধরণী, ধরিত্রী, ধরাতল, ভূমি, ক্ষিতি, মহী, ইত্যাদি।

গঠন[সম্পাদনা]

আকৃতি[সম্পাদনা]

পৃথিবী দেখতে পুরোপুরি গোলাকার নয়, বরং কমলালেবুর মত উপর ও নিচের দিকে কিছুটা চাপা এবং মধ্যভাগ (নিরক্ষরেখার কাছাকাছি) স্ফীত। এ'ধরণের স্ফীতি তৈরি হয়েছে নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে এর ঘূর্ণনের কারণে। একই কারণে বিষুব অঞ্চলীয় ব্যাস মেরু অঞ্চলীয় ব্যাসের তুলনায় প্রায় ৪৩ কিমি. বেশি।

রাসায়নিক গঠন[সম্পাদনা]

পৃথিবীর ভর প্রায় ৫.৯৮×১০২৪ কিগ্রাঃ। এর প্রায় ৩২.১% লৌহ, ৩০.১% অক্সিজেন, ১৫.১% সিলিকন, ১৩.৯% ম্যাগনেসিয়াম, ২.৯% সালফার, ১.৮% নিকেল, ১.৪% অ্যালুমিনিয়াম এবং বাকী ১.২% অন্যান্য পদার্থ দ্বারা গঠিত। তবে পৃথিবীর কেন্দ্রভাগের গঠন কিছুটা ভিন্ন; এর প্রায় ৮৮.৮% ভাগই লৌহ। এছাড়া আছে নিকেল (৫.৮%) ও সালফার (৪.৫%)।

অভ্যন্তরীণ গঠন[সম্পাদনা]

তাপ[সম্পাদনা]

টেকটনিক পাতসমূহ[সম্পাদনা]

ভূপৃষ্ঠ[সম্পাদনা]

জলমণ্ডল[সম্পাদনা]

বায়ুমণ্ডল[সম্পাদনা]

বায়ুমণ্ডল গ্যাসের একটি আস্তরণ যা পর্যাপ্ত ভরসম্পন্ন কোন বস্তুর চারদিকে ঘিরে জড়ো হয়ে থাকতে পারে। বস্তুটির অভিকর্ষের কারণে এই গ্যাসপুঞ্জ তার চারদিকে আবদ্ধ থাকে। বস্তুর অভিকর্ষ যদি যথেষ্ট বেশি হয় এবং বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা যদি কম হয় তাহলে এই মণ্ডল অনেকদিন টিকে থাকতে পারে। গ্রহসমূহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের গ্যাস জড়ো হতে দেখা যায়। এ কারণে গ্রহের বায়ুমণ্ডল সাধারণ অপেক্ষাকৃত ঘন এবং গভীর হয়। পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে যা পৃথিবী তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে তাকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বা আবহমণ্ডল বলে।এই বায়ুমন্ডল সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা করে।এছাড়ও তাপ ধরে রাখার মাধ্যমে (গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া) ভূপৃষ্টকে উওপ্ত করে এবং দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস করে।

আবহাওয়া এবং জলবায়ু[সম্পাদনা]

আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। আবার কখনও কখনও কোনো নির্দিষ্ট এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাকেও আবহাওয়া বলা হয়। আবার কোনো স্থানের দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি হয় সে স্থানের জলবায়ু। আবহাওয়া নিয়ত পরিবর্তনশীল একটি চলক।

উচ্চতর বায়ুমণ্ডল[সম্পাদনা]

চৌম্বকীয় ক্ষেত্র[সম্পাদনা]

বার্ষিক ও আহ্নিক গতি[সম্পাদনা]

আহ্নিক গতি[সম্পাদনা]

পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে ঘূর্ণনকে পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলে। এই গতি পশ্চিম থেকে পূর্বের দিকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত অভিমুখে হয়ে থাকে। পৃথিবীর আহ্নিক গতির অক্ষ উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠকে ছেদ করে।

বার্ষিক গতি[সম্পাদনা]

যে গতির ফলে পৃথিবীতে দিনরাত ছোট বা বড় হয় এবং ঋতু পরিবর্তিত হয় তাকে বার্ষিক গতি বলে।

কক্ষের নতি এবং ঋতু পরিবর্তন[সম্পাদনা]

বাসযোগ্যতা[সম্পাদনা]

জীবমণ্ডল[সম্পাদনা]

জীবনের বিবর্তন[সম্পাদনা]

প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ভূমি ব্যবহার[সম্পাদনা]

প্রাকৃতিক এবং পরিবেশগত সমস্যা[সম্পাদনা]

মানবীয় ভূগোল[সম্পাদনা]

সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গী[সম্পাদনা]

কালানুক্রম[সম্পাদনা]

উৎপত্তি[সম্পাদনা]

সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল।[৮] সাড়ে ৪০০ কোটি বছর আগে দুটি গ্রহের তীব্র সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, জুড়ে যায় গ্রহ দুটি। পৃথিবী নামক গ্রহের সঙ্গে চরম সংঘর্ষ হয়েছিল থিয়া নামে একটি গ্রহের। সংঘর্ষের সময় পৃথিবীর বয়স ছিল ১০ কোটি বছর। সংঘর্ষের জেরে থিয়া ও পৃথিবীর জুড়ে যায়, তৈরি হয় নতুন গ্রহ। সেই গ্রহটিতেই আমরা বাস করছি। তিনবার চন্দ্র অভিযানে পাওয়া চাঁদের মাটি এবং হাওয়াই অ্যারিজোনায় পাওয়া আগ্নেয়শিলা মিলিয়ে চমকে যান গবেষকরা। দুটি পাথরের অক্সিজেন আইসোটোপে কোনও ফারাক নেই। গবেষকদলের প্রধান অধ্যাপক এডওয়ার্ড ইয়ংয়ের কথায়, চাঁদের মাটি আর পৃথিবীর মাটির অক্সিজেন আইসোটোপে কোনও পার্থক্য পাইনি। থিয়া নামক গ্রহটি তখন পরিণত হচ্ছিল। ঠিক সেই সময়েই ধাক্কাটি লাগে এবং পৃথিবীর সৃষ্টি হয়।[৯]

ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস[সম্পাদনা]

সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ[সম্পাদনা]

চাঁদ[সম্পাদনা]

চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং সৌর জগতের পঞ্চম বৃহৎ উপগ্রহ। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব হচ্ছে ৩৮৪,৪০৩ কিলোমিটার (২৩৮,৮৫৭ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ৩০ গুণ। চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৪ কিলোমিটার (২,১৫৯ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। এর অর্থ দাড়াচ্ছে, চাঁদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৫০ ভাগের ১ ভাগ। এর পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বল পৃথিবী পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বলের এক-ষষ্ঠাংশ। পৃথিবী পৃষ্ঠে কারও ওজন যদি ১২০ পাউন্ড হয় তা হলে চাঁদের পৃষ্ঠে তার ওজন হবে মাত্র ২০ পাউন্ড। এটি প্রতি ২৭.৩ দিনে পৃথিবীর চারদিকে একটি পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করে। প্রতি ২৯.৫ দিন পরপর চন্দ্র কলা ফিরে আসে অর্থাৎ একই কার্যক্রিয় আবার ঘটে। পৃথিবী-চাঁদ-সূর্য তন্ত্রের জ্যামিতিতে পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের কারণেই চন্দ্র কলার এই পর্যানুক্রমিক আবর্তন ঘটে থাকে।
বেরিকেন্দ্র নামে পরিচিত একটি সাধারণ অক্ষের সাপেক্ষে পৃথিবী এবং চন্দ্রের ঘূর্ণনের ফলে যে মহাকর্ষীয় আকর্ষণ এবং কেন্দ্রবিমুখী বল সৃষ্টি হয় তা পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির জন্য অনেকাংশে দায়ী। জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির জন্য যে পরিমাণ শক্তি শোষিত হয় তার কারণে বেরিকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে পৃথিবী-চাঁদের যে কক্ষপথ রয়েছে তাতে বিভব শক্তি কমে যায়। এর কারণে এই দুইটি জ্যোতিষ্কের মধ্যে দূরত্ব প্রতি বছর ৩.৮ সেন্টিমিটার করে বেড়ু যায়। যতদিন না পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটার উপর চাঁদের প্রভাব সম্পূর্ণ প্রশমিত হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত চাঁদ দূরে সরে যেতেই থাকবে এবং যেদিন প্রশমনটি ঘটবে সেদিনই চাঁদের কক্ষপথ স্থিরতা পাবে।

গ্রহাণু এবং কৃত্রিম উপগ্রহ[সম্পাদনা]

গ্রহাণু হল প্রধানত পাথর দ্বারা গঠিত বস্তু যা তার তারাকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে। আমাদের সৌরজগতে গ্রহাণুগুলো ক্ষুদ্র গ্রহ (Minor planet অথবা Planetoid) নামক শ্রেণীর সবচেয়ে পরিচিত বস্তু। এরা ছোট আকারের গ্রহ যেমন বুধের চেয়েও ছোট। বেশিরভাগ গ্রহাণুই মঙ্গল এবং বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত গ্রহাণু বেল্টে থেকে নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে আবর্তন করে। ধারণা করা হয় গ্রহাণুগুলো ভ্রূণগ্রহীয় চাকতির (Protoplanetary disc) অবশিষ্টাংশ। বলা হয় গ্রহাণু বেল্টের অঞ্চলে সৌরজগতের গঠনের প্রাথমিক সময় যেসকল ভ্রূণগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিলো তাদের অবশিষ্টাংশ বৃহস্পতির আবেশ দ্বারা সৃষ্ট মহাকর্ষীয় অক্ষ বিচলনের কারণে গ্রহের সাথ মিলিত হবার সুযোগ পায়নি। আর এই অবশিষ্টাংশই গ্রহাণু বেল্টের উৎপত্তির কারণ। কিছু গ্রহাণুর চাঁদও রয়েছে।
কৃত্রিম উপগ্রহ হলো মহাকাশে উৎক্ষেপিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় উদ্ভাবিত উপগ্রহ।
Read more ...