Page

Choose Your Language

Wednesday, July 6, 2016

শনি গ্রহ-Saturn




শনিঃ

শনি সৌরজগতের ৬ষ্ঠ গ্রহ। বৃহস্পতির পর এটি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্যের দিক থেকে এর অবস্থান ষষ্ঠ। হিন্দু পৌরাণিক দেবতা ‘শনি’র নামানুসারে এই গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে। এর ইংরেজি নাম Saturn। রোমান দেবতা Saturn (স্যাটার্ন) এর নামানুসারে ইংরেজি Saturn নামটি গ্রহণ করা হয়েছে। নিরক্ষীয় এলাকায় এর ব্যাস ১২০৮০ কিলোমিটার। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব ১৪৭,২০,০০,০০০ কিলোমিটার। মেরু অঞ্চলের ব্যাস ১০৯০০০। এর ঘনত্ব জলের ০.৬৮ গুণ। সূর্যপ্রদক্ষিণকাল ২৯.৪৬ পার্থিব বৎসর। এটি নিজ অক্ষের উপর একবার আবর্তিত হতে সময় নেয় ১০ ঘণ্টা ৩৯ মিনিট ২৪ সেকেন্ড। এই গ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে পাথুরে উপকরণ। মধ্য ও উপরিভাগের অধিকাংশই হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম দিয়ে তৈরি। এর সাথে রয়েছে জল, মিথেন এবং এ্যামোনিয়া। আর এই গ্রহকে ঘিরে রয়েছে বিস্তৃত বলয়। শনির উপরিভাগের ৭০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত মেঘরাশির উপর থেকে এই বলয়ের শুরু এবং তা প্রায় ৭৪০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই বলয়রাশির ভিতর বিভিন্ন পরিমাপের ফাঁকা জায়গা আছে। এই ফাঁকা স্থানের বিচারে এর বলয়গুলিকে কয়েকটি নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ভাগগুলি হলো- ডি, সি, বি, এ, এফ , জি, ই। এর সবচেয়ে বড় ফাঁকা স্থানের নাম ক্যাসিনি বিভাজন (Cassini Division)। এর বিস্তৃতির পরিমাণ প্রায় ১২০,৬০০ কিলোমিটার। পক্ষান্তরে এ এবং বি বলয়ের মধ্যকার দূরত্ব প্রায় ৪৮০০ কিলোমিটার।
শনির বলয়ঃ

শনি গ্রহটি তার আকর্ষণীয় বলয়ের কারণেই সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তুলনায় সৌন্দর্য্যের উৎকর্ষে রয়েছে, যা মহাজাগতিক ক্যানভাসে সৃষ্টি করেছে এক বিমূর্ত চিত্র। ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি সর্বপ্রথম টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং এর দৃষ্টিনন্দন বলয় দেখতে পান। নাসার বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের বিশাল গ্রহ শনির চারপাশে ঘূর্ণায়মান বিশাল আকারের নতুন একটি বলয় (রিং)-এর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অবশ্য দীর্ঘদিন চেষ্টার পর বিজ্ঞানীরা এটি আবিষ্কারে সফল হন। মজার ব্যাপার হলো সদ্য আবিষ্কৃত বলয়টি এতটাই বিশাল যে, এর ভেতর একশ কোটি বা এক বিলিয়ন পৃথিবী ভরে রাখার মত জায়গা আছে। বলয়টির মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বরফ, ধুলাবালি ইত্যাদি ধরা পড়ে।
শনির উপগ্রহঃ

মূলত শনি গ্রহের রয়েছে ১৫০ টিরো বেশী উপ গ্রহ , কিন্তু এর মধ্যে নাম দেয়া হয়েছে মাত্র ৫৩ টি উপগ্রহের , এবং আকার বিবেচনায় ১৮ টি উপ গ্রহ কে মূল উপগ্রহ ধরা হয় । টাইটান উপগ্রহটি সবচেয়ে বড়। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের সাথে তুলনা করলে এটি ব্যাসে প্রায় ১৪৮% বড়। নিম্নে উপগ্রহগুলোর বিবরণ দেয়া হলোঃ-
  1. প্যান (Pan)
  2. ড্যাফনিস (Daphnis)
  3. এ্যাটলাস (Atlas)
  4. প্রমিথিউস (Prometheus)
  5. প্যান্ডোরা বা প্যানডোরা (Pandora)
  6. এপিমেথিউস (Epimetheus)
  7. জ্যানাস (Janus)
  8. এগিয়ন (Aegaeon)
  9. মাইমাস (Mimas)
  10. মেথোনে (Methone)
  11. এন্থে (Anthe)
  12. প্যালেন (Pallene)
  13. এনসেলাডাস (Enceladus)
  14. টেথিস (Tethys)
  15. টেলেস্টো (Telesto)
  16. ক্যালিপ্সো (Calypso)
  17. ডাইয়োনে (Dione)
  18. হেলেন (Helene)
  19. পলিডিউসেস (Polydeuces)
  20. রিয়া (Rhea)
  21. টাইটান (Titan)
  22. হাইপেরিয়ন (Hyperion)
  23. আইয়াপেটাস (Iapetus)
  24. কিভিউক (Kiviuq)
  25. ইজিরাক (Ijiraq)
  26. ফোবে (Pheobe)
  27. পালিয়াক (Paaliaq)
  28. স্কাথি (Skathi)
  29. এ্যালবাইয়োরিক্স (Albiorix)
  30. এস/২০০৭ এস ২ (S/2007 S 2)
  31. বেভিওন (Bebhionn)
  32. এরিয়াপাস (Erriapus)
  33. স্কল (Skoll)
  34. সিয়ারনাক (Siarnaq)
  35. তার্কেক (Tarqeq)
  36. এস/২০০৪ এস ১৩ (S/2004 S 13)
  37. গ্রেয়িপ (Greip)
  38. হাইরোক্কিন (Hyrrokkin)
  39. জার্‌ন্‌সাক্সা (Jarnsaxa)
  40. তারভোস (Tarvos)
  41. মানডিলফারি (Mundilfari)
  42. এস/২০০৬ এস ১ (S/2006 S 1)
  43. এস/২০০৪ এস ১৭ (S/2004 S 17)
  44. বার্গেলমির (Bergelmir)
  45. নার্ভি (Narvi)
  46. এস/২০০৪ এস ১২ (S/2004 S 12)
  47. ফারবাউটি (Farbauti)
  48. থ্রাইম্‌র (Thrymr)
  49. এজির (Aegir)
  50. এস/২০০৭ এস ৩ (S/2007 S 3)
  51. বেস্টলা (Bestla)
  52. এস/২০০৪ এস ৭ (S/2004 S 7)
  53. এস/২০০৬ এস ৩ (S/2006 S 3)
  54. ফেনরির (Fenrir)
  55. সুরতুর (Surtur)
  56. কারি (Kari)
  57. ইমির (Ymir)
  58. লোগে (Loge)
  59. ফোর্নজোট (Fornjot)

No comments :

Post a Comment