রোমানদের সাগর দেবতা নেপচুনের এর নাম অনুসরনে গ্রহটির নামকরন করা হয়। গ্রহটি প্রথম আবিস্কৃত হয় ১৮৪৬ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর। সৌরজগতে নেপচুনই প্রথম গ্রহ যা কিনা দেখার পূর্বেই মেথমেটিক্যালি অনুমানের উপর ভিত্তি করে আবিস্কার করা হয়। আরবেইন লি ভিরিয়ার নামে একজন মেথমেটিশিয়ান এই অনুমানের কথা প্রথমে প্রকাশ করেন। তিনিই প্রথম এর নামকরন করেন নেপচুন।গ্যালেলিও চিত্রাংকন থেকে বুঝা যায় সর্বপ্রথম তিনিই এই গ্রহটি দেখেছিলেন। সেটা ছিল ১৬১২ সালের ২৮শে ডিসেম্বর। পরে আবার তিনি দেখতে পান ১৬১৩ সালের জানুয়ারির ২৭ তারিখে। কিন্তু দুইবারই তিনি ভুল করে একে নহ্মত্র মনে করেন। ভূল করার কারন ছিল তিনি যেদিন প্রথম গ্রহটি দেখেন সেদিন স্থির হয়ে ছিল এবং ব্যাকওয়ার্ড ঘুর্নেনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। তাই গ্যাললিওর আবিস্কারকে আহ্মরিক অর্থে নেপচুনের অবিস্কার বলা হয়না। প্রসংগত বলে রাখতে চাই যে, নেপচুন প্রতি ৩৬৭ দিন পর পর নিজ অহ্মের উপর উলটো করে ঘুরতে শুরু করে।
সূর্য্য থেকে দূরতের ক্রমানুসারে গ্রহটির অবস্থান অষ্টমে (৪.৫৫ বিলিয়ন কিমি.)। ওজনের দিক থেকে এটি তৃতিয় বৃহত্তম (পৃথিবির চেয়ে ১৭ গুন)। এর গঠন পদ্ধতি অনেকটা ইউরেনাসের মত। কোরে রয়েছে পাথর অ বরফের সমন্নয়। বায়ুমন্ডল খানিকটা জুপিটার কিংবা সেটার্নের মত। এর বায়ু প্রবাহ অন্য যেকোন গ্রহের তুলনায় বেশি (ঘন্টায় ২১০০ কিমি.)। তাপমাত্রা -২১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অথচ কেন্দ্রের তাপমাত্রা প্রায় ৫০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মত। এর রিংগুলি খুবই হাল্কা এবং ভংগুর।
১৯৩০ সালে প্লোটো আবিস্কারের আগ পর্যন্ত নেপচুনকেই মনে করা হত সবচেয়ে দুরের গ্রহ। তারপর দীর্ঘদিন তর্ক বিতর্কের পরে ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশবিদরা প্লোটোকে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেন। এবং নেপচুন পুনরায় সবচেয়ে দুরের গ্রহ মর্যাদা ফিরে পায়।
নেপচুনের বার্ষিক গতি ১৬৪.৭৯ বছর। আহ্নিক গতি ১২ঘন্টার মত। ২০১১ সালের ১২ই জুলাই নেপচুন আবিস্কারের পর প্রথম নিজ অহ্মপথ অতিক্রম করবে।
নেপচুনের চাঁদের সংখ্যা ১৩টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টির নামে ট্রাইটন। অন্য উপগ্রহরা যেমন করে নিজ কহ্মপথে আবর্তন করে ট্রাইটন তার উলটো। এর থেকে ধারনা করা হয় এটি হয়ত কোনভাবে নেপচুনের অরবিটে এসে পরে যুক্ত হয়েছে। সৌরজগতে ট্রাইটন হল সবচেয়ে ঠান্ডা পদার্থ।
No comments :
Post a Comment