মহাকাশে পরিভ্রমণমান এক প্রকার মহাকাশীয় বস্তু। ধূমকেতু শব্দটি বাংলায় গৃহীত হয়েছে সংস্কৃত যৌগিক থেকে যৌগিক শব্দ হিসেবে। [ধূমকেতু (অভিধান)]
মহাকাশে পরিভ্রমণমান এক প্রকার মহাকাশীয় বস্তু। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময়, সূর্যের নিকটবর্তী হলে, এই মহাকাশীয় বস্তুর সাথে দীর্ঘ গ্যাসীয় পুচ্ছ দেখা যায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানে একে বলা হয় ধূমকেতু।
পৃথিবী থেকে আমরা যে ধূমকেতু দেখি, সূর্য থেকে বহুদূরে পিণ্ডের আকারে থাকে। এর রয়েছে নিজস্ব পাতলা বায়ুমণ্ডল। কেন্দ্রে থাকে জমাট বরফ, ছোটো ছোটো পাথর ও মহাকাশীয় ধূলিকণা। এর বায়ুমণ্ডলে থাকে, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, মিথেন ও মহাকাশীয় ধূলিকণা। চওড়ায় এর কেন্দ্র ৪০-১০০ কিলোমিটার হয়ে থাকে। নাসার মতে, ধূমকেতুর কেন্দ্রে ৮৫% বরফ থাকলে তাকে ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এরকম স্বল্প ভরের কারণে এর কেন্দ্র গোলাকার না হয়ে এবড়ো থেবড়ো বা অনিয়মিত আকৃতির হয়।
সূর্যের টানে যখন এই বস্তুপিণ্ড ছুটে আসে, তখন এর বায়ুমণ্ডলে ছোটো লেজের সৃষ্টি করে। এই সময় এর আকারকে অনেকটা যতি চিহ্নের 'কমা'র সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। সূর্যের বিকিরণে এর উদ্বায়ী পদার্থগুলো ধূলো ও গ্যাস হয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এর ফলেই কমার সৃষ্টি হয়। সূর্যের নিকটবর্তী হলে এদের গতি বৃদ্ধি পায় এবং দীর্ঘ লেজের সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হয়, সূর্যের বিকিরণ বল ও সৌরবায়ুর প্রভাবে এর কমা, সূর্যাবিমূখি একটি বিশাল লেজে পরিণত হয়। এই সময় সূর্য থেকে আগত আলো এই লেজে পড়ে আলোকিত হয়ে উঠে। সৌরঝড়ের প্রভাবে ধূমকেতুর এই লেজের আকারের তারতম্য ঘটে। আলোকিত কেন্দ্র এবং পুচ্ছ মিলে ধূমকেতু রাতের অন্ধকার আকাশকে সৌন্দর্যময় করে তোলে।
পৃথিবী থেকে আমরা যে ধূমকেতু দেখি, সূর্য থেকে বহুদূরে পিণ্ডের আকারে থাকে। এর রয়েছে নিজস্ব পাতলা বায়ুমণ্ডল। কেন্দ্রে থাকে জমাট বরফ, ছোটো ছোটো পাথর ও মহাকাশীয় ধূলিকণা। এর বায়ুমণ্ডলে থাকে, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, মিথেন ও মহাকাশীয় ধূলিকণা। চওড়ায় এর কেন্দ্র ৪০-১০০ কিলোমিটার হয়ে থাকে। নাসার মতে, ধূমকেতুর কেন্দ্রে ৮৫% বরফ থাকলে তাকে ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এরকম স্বল্প ভরের কারণে এর কেন্দ্র গোলাকার না হয়ে এবড়ো থেবড়ো বা অনিয়মিত আকৃতির হয়।
সূর্যের টানে যখন এই বস্তুপিণ্ড ছুটে আসে, তখন এর বায়ুমণ্ডলে ছোটো লেজের সৃষ্টি করে। এই সময় এর আকারকে অনেকটা যতি চিহ্নের 'কমা'র সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। সূর্যের বিকিরণে এর উদ্বায়ী পদার্থগুলো ধূলো ও গ্যাস হয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এর ফলেই কমার সৃষ্টি হয়। সূর্যের নিকটবর্তী হলে এদের গতি বৃদ্ধি পায় এবং দীর্ঘ লেজের সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হয়, সূর্যের বিকিরণ বল ও সৌরবায়ুর প্রভাবে এর কমা, সূর্যাবিমূখি একটি বিশাল লেজে পরিণত হয়। এই সময় সূর্য থেকে আগত আলো এই লেজে পড়ে আলোকিত হয়ে উঠে। সৌরঝড়ের প্রভাবে ধূমকেতুর এই লেজের আকারের তারতম্য ঘটে। আলোকিত কেন্দ্র এবং পুচ্ছ মিলে ধূমকেতু রাতের অন্ধকার আকাশকে সৌন্দর্যময় করে তোলে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই লেজ অনুজ্জ্বল থাকে বলে টেলিস্কোপ ছাড়া দেখা যায় না। চার্জযুক্ত পরমাণুর এই লেজটি সৃষ্টি হয় নিউক্লিয়াসের গ্যাসীয় বস্তুগুলোর বাষ্পীভবনের কারণে। অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে তা ভেঙ্গে চার্জযুক্ত বস্তুতে পরিণত হয়ে সৌরবায়ুতে তরঙ্গের আকারে প্রবাহিত হয়।
ধূমকেতুর পরিভ্রমণ পথ অনেক দীর্ঘ। এই কারণে দীর্ঘদিন অন্তর অন্তর ধূমকেতু সূর্যের নিকটবর্তী হয়। এই দীর্ঘদিন হতে পারে কয়েক হাজার বৎসর থেকে কয়েক লক্ষ বৎসর পর্যন্ত। অল্প সময়ে পরিভ্রমণমান ধূমকেতু তৈরি হয়- নেপচুন গ্রহের কক্ষপথের পিছনে অবস্থিত কুইপার বলয় (Kuiper belt) থেকে বা এর বলয় সংলগ্ন অঞ্চল থেকে। আর দীর্ঘ-পথ পরিক্রমণকারী ধূমকেতু উৎপন্ন হয় উর্ট মেঘ (Oort cloud) থেকে। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এক প্রতিবেদনে ধূমকেতুর সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন প্রায় ২০০০।
ধূমকেতুগুলো এক সময় না একসময় তার মহাকাশে বিলীন হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো, দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার সময় ধূমকেতু তার নিজস্ব বস্তুকে হারতে থাকে। ফলে একসময় তা মহাকাশীয় বস্তু পুঞ্জের সাথে ধাক্কা খেয়ে বা বড় কোনো নক্ষত্র বা গ্রহের আকর্ষণে উল্কা হয়ে ঝড়ে পরে। অনেক সময় সূর্যের প্রবল আকর্যষণে ধূমকেতুর কেন্দ্র ভেঙে একাধিক ধূমকেতুতে পরিণত হয় বা চিরতরে হারিয়ে যায়।
No comments :
Post a Comment